Thursday 13 September 2018

আসবো আমি...

























আসবো আমি...


অলস রাতে উপচে ওঠা
জমানো সব ব্যাথা,
হারিয়ে গেলে দিনের আলো-
ফুরিয়ে গেলে কথা!
ডাক পাঠিয়ো অন্ধকারেচুপ জোনাকির ডানায়-
নদী যখন বৃষ্টিজলে,
ভরবে কানায় কানায়!

আসবো আমি দেখে নিও-
ভোরের আলো নিয়ে,
নতুন দিনে নতুন আশা-
স্বপ্ন অনেক দিয়ে!
            -পল্লব 

Friday 15 June 2018

প্রহরী





প্রহরী

ফ্যনের ব্লেডের মতো অস্পষ্ট আমি..
আছি, তবু যেন নেই... হাওয়ায় মিশে!
গোধূলির সূর্য যেমন রক্ত আবীর মেখে
মিশে যায় রক্তিম দিকচক্রবালের শেষে-
তেমনি আলো আঁধারের সীমান্তে
দাঁড়িয়ে আছি অদৃশ্য প্রহরীর বেশে।
দিন রাতের প্রভেদ বুঝিনা আর,
নীল ঠিকানায় পাঠিয়েছি খাম-
জানিনা সে চিঠি পেয়েছে কিনা
মেঘের চাদরে ঢেকে যার নাম!
সময় উড়ে যায় আলাদিনের চাদরে
সময় বোঝেনা সময়ের দাম...
ভুল হয়, কি দেখি নিশার আকাশে?
নক্ষত্ররাজি? নাকি সে জোনাকিময়!
জ্বলে আর নেভে পুড়ে যায় বুক-
অন্ধকার? নাকি না দেখার ভয়?
কুড়ে কুড়ে খায় শকুনের দল,
নশ্বর দেহ অমৃতসম সে তো বিষ নয়..
আমার প্রহরীর সাজ, হয়েছে জীর্ণ,
যেটুকু আছে বল, রয়েছি দাঁড়িয়ে-
সেই খাম যদি ফেরে উত্তুরে হাওয়ায় ভেসে,
রেখেছি এখনি দুই পা বাড়িয়ে-
থেকে যাবে সব আলো আঁধারের মাঝে
আমার পদধূলি জানি যাবে না হারিয়ে...

            -পল্লব (14.6.18)

একান্তে






একান্তে 

শাল পিয়ালের গহিন বনে সবুজ যেথা কালো,
আলোর দেখা নেই যেখানে, সেই আমারই ভালো...
নেই সেখানে আর একটা ঘর, নেই সেথা আর ঠাঁই,
কালের নিয়ম শুকনো পাতা অঢেল খুঁজে পাই...
রঙিন আঁচল নক্সা কাটা হাওয়ায় ওড়ে গন্ধ,
মনের আগল জানলা কপাট সকল ঠেলে বন্ধ...
মেঘবালিকা চুপি চুপি হয়ে যা ফুসমন্তর!
আমি বরং প্রহর গুনি, একটা জীবন অন্তর...

                                   - পল্লব (7.6.18)

নতুনের ডাক






নতুনের ডাক

তুমি কি শুনতে পেয়েছো নতুনের ডাক?
স্বচ্ছ শিশিরকনা বয়ে নিয়ে কচি ঘাসের তীক্ষ্ণ মাথা!
সবুজ পাতার অলিগলি বেয়ে নেমে আসছে আলোর সিঁড়ি... 
অন্ধকারের শেষে...
সেই সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাচ্ছে বর্ণহীন ইতিহাস,
মহাশূণ্যের পথে অসীমের উদ্দেশ্যে!
সবুজ মাকুর মতো পর্বের খাঁজে,
উঁকি দিচ্ছে তোমার আমার ভবিষ্যৎ!
বারুদের স্তুপের উপর দেখতে পাচ্ছো?
অঙ্কুরিত হয়েছে নতুনের বীজ!
পৃথিবীর আনাচে কানাচে পোঁতা অাছে
ধ্বংসের ল্যান্ডমাইন!
নতুন পা ফেলে সাবধানে... সব বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে,
সন্তর্পনে টোকা দেয় তোমার দরজায়-
তুমি কি বাড়িয়েছ হাত? চৌকাঠে দ্বারুঘটে,
তুমি কি শুনতে পেয়েছো নতুনের ডাক?

                                              -পল্লব (৯.৬.১৮)

স্মৃতিসুধা



























স্মৃতিসুধা 

আছে সুখ, আছে দুখ,
চেনা অচেনা, কত কত মুখ,
ফিরে ফিরে আসে, শত অবকাশে,
হয়ে থাক স্মৃতি, ভরে যাক বুক...
                     - পল্লব (2.6.18)

Friday 6 April 2018

অজ্ঞাতবাস






অজ্ঞাতবাস

আমার কাছে স্বপ্ন ছিল, ছিল যেটা জীবন 
তোর কাছে খেলা ছিল, ছিল না তো নিয়ম
ভেবেছিলাম হারিয়ে যাবো, পাবেনা কেউ খুঁজে;
যে যাই বলুক আমায়, থাকবো মুখটি বুজে
থাকবি শুধু তুই কাছেতে, থাকবে না আর কেউ,
তোর চুলেরই পাগল স্রোতে উঠবে কিছু ঢেউ-
সেই ঢেউয়েতে ভাসবো আমি, স্বপ্নতরী বেয়ে,
থাকবে তোর ওই চোখের কাজল, আমার আকাশ ছেয়ে
ভেবেছিলাম বানাবো ঘর, ভালবাসার দেওয়াল,
মাথার উপর আশার আকাশ, শিমূল বকুল পিয়াল-
তুই আর আমি হাঁটবো সে পথ, যে পথ গেছে বেঁকে,
পৃথিবীর ওই শেষ সীমানায়- আল্পনা এক এঁকে!
যে পথ শুরু তোর কাছেতে, তোর কাছেতেই শেষ,
নতুন করে আমি আবার ধরবো সে এক বেশ
সাজবো আমি প্রজাপতি, রঙ নেবো তোর থেকে-
উপচে পড়া ফুলের মধু আমায় যাবে ডেকে...
একটা পাগল হাওয়ার মতো কোথায় যাবো বয়ে,
সারাটা দিন গান শোনাবো অচিন ভ্রমর হয়ে
চাঁদের বুড়ি, পরীর দেশ আর নকশী কাঁথার মাঠ,
থাকবে না আর গল্প তখন, সৌদামিনীর ঘাট
পক্ষিরাজের ডানায় ভেসে সাজবো রাজকুমার,
দানবপুরীর শিকল ভেঙে করবো তোকে ফেরার-
আজ আর নেই স্বপ্ন সেসব, তুইও ইতিহাস,
মনের কোনে থাকুক পড়ে আমার অজ্ঞাতবাস...

                                     - পল্লব সরদার (২০১১) 

মনে রেখো























মনে রেখো... 

তোমার হারিয়ে যাওয়া হাসির খোঁজে- 
ঘুরছি আঁধার ভুবন মাঝে! 
চিনিনা আমি তখন তোমায়! 
দাঁড়িয়েছিলে দেখে আমায়- 
অন্ধকারের ভেতর থেকে...
আবছা আলোর প্রলেপ মেখে...
বাড়িয়েছিলে দুহাত যখন- 
ভেবেছিলাম স্বপ্ন তখন! 
আজ বুঝি সে ছিলে তুমি; 
যদিও এখন সুখী আমি-
তবুও যদি পাইগো খুঁজে,
আমার হাসি তোমার মাঝে!
বলবো তবে আজকে তোমায়- 
পারলে মনে রেখো আমায়... 

                  - পল্লব (২০১২) 

Tuesday 28 March 2017

ভাববার বিষয়
































ভাববার বিষয় 

ভাবনা কেন আসে মনে,
ভাবনা কেন আসে?
আসেও যদি, কেন প্রাণে
আগুন দিয়ে হাসে?
হৃদয় জুড়ে নেশা এমন,
নেশায় করে ভয়-
ভাবনা কেন আসে সখী,
যেটা পাবার নয়... 


               ---পল্লব 

যা তা

যা তা

ক্লান্ত রাত, বিষণ্ণ সকাল,
ক্ষুধার্ত মন, খাদ্যের আকাল;
ভেজা কাপে চুমুক, তিতকুরি চায়ে;
বহু দিনের ময়লা, লেগে আছে গায়ে-
শুকিয়ে যাওয়া কুমড়ো ফুল আর,
শিশির ভেজা পাতা...
মনের কোণে জল জমেছে!
লিখছি তাই যা তা...

                - পল্লব 

রাত্রি সব জানে

























রাত্রি সব জানে 


জেগে আছে রাত আমার সাথে,

আজ তাই তোর ছুটি-
করবো আজ গল্প অনেক,
খেলবো কাটাকুটি!
বুঝিস না তুই, তোকে ছাড়াও
বেঁচে থাকা যায়-
আজ রাতে মোর সঙ্গী হবার,
রাত্রি নিলো দায়...
বলবো ওকে যা আছে সব,
মনের গহীন কোণে-
কাল দুপুরে লিখবো দেখিস,
রাত্রি সব জানে...

                -পল্লব (২৯.০২.২০১২)